Posts

কান্তজীউ মন্দির (Kantajew/Kantaji Temple)

Image
  কান্তজীউ মন্দির (Kantajew/Kantaji Temple) অবস্থান মন্দিরটি অবস্থিত কান্তনগর (Kantanagar), দিনাজপুর জেলা, রংপুর বিভাগের বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে।  দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ২০ কিমি উত্তর দিকে, ঢেঁপা নদী–এর পাড়ে।  ইতিহাস মন্দিরটি শুরু করা হয় ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দের দিকে মহারাজা প্রণনাথ (Maharaja Prannath) কর্তৃক।  পরবর্তী সময়ে তাঁর দত্তক ছেলে রাজা রামনাথ (Raja Ramnath) দ্বারা মন্দিরটি সমাপ্ত হয় — প্রায় ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে।  মূলত এটি একটি হিন্দু উপাসনালয়, উৎসর্গ করা হয়েছে কৃষ্ণ (Krishna) ও তাঁর স্ত্রী রুকমিণী (Rukmini)-কে।  মন্দিরটি একসময় নব-রত্ন (নউ রাত্ন) শৈলীতে ছিল — অর্থাৎ মোট ৯টি সিংহাসন বা শৃঙ্গ ছিল যা আরও উঁচু দেখাত। কিন্তু ১৮৯৭ সালের বৃহৎ ভূকম্পনে সেগুলি ধ্বংস হয়।  স্থাপত্য ও শিল্পকর্ম মন্দিরটি বর্গাকার ভিত্তিতে তৈরি; বহির্ভাগে ও অভ্যন্তরে দেয়ালে প্রায় ১৫ হাজার পর্যায়ের টেরাকোটা প্যানেল রয়েছে — যা বিভিন্ন পুরাকাহিনী, সামাজিক দৃশ্যাবলী, পশুপাখি-প্রকৃতি ইত্যাদি চিত্রায়িত।  টেরাকোটার শিল্পকর্মে দেখা যায় রামায়ণ, মহাভারত, কৃষ্ণ-রাধার লীলাসহ ১৮শ শতকের বাং...

🕯️ আলো খাওয়া পোকা

 এক ছিল ছোট্ট গ্রাম — নাম চন্দ্রপুর। সেখানে থাকত এক অদ্ভুত পোকা, নাম টিপু। টিপু কোনো সাধারণ পোকা ছিল না — সে আলো খেতো! 🌟 রাতে যখন গ্রামের মানুষরা প্রদীপ জ্বালাত, টিপু চুপিচুপি এসে আলোটা গিলে ফেলত। মানুষরা ভাবত — “বাতি নষ্ট হয়ে গেছে নাকি?” একদিন গ্রামের বাচ্চারা দেখল — বাতি জ্বালানোর পর টিপু এসে আলোটা খেয়ে নিচ্ছে! ওরা অবাক হয়ে বলল, “টিপু, তুই আলো খাস কেন?” টিপু হেসে বলল, “আমি আলো খেলে আমার ডানায় রং লাগে। আলো ছাড়া আমি কালো হয়ে যাই।” সবাই ভাবল — আহা, টিপুর তো আলোর দরকার! তাই তারা প্রতিদিন এক একটা ‘রঙিন বাতি’ টিপুর জন্য আলাদা করে রাখল। টিপু আলো খেয়ে উজ্জ্বল হয়ে উড়ে বেড়াত আকাশে — যেন একটা ছোট্ট তারা মাটিতে নেমে এসেছে। এক রাতে হঠাৎ বড় ঝড় এলো। সব বাতি নিভে গেল। গ্রাম অন্ধকার। তখন টিপু তার নিজের রঙিন আলো থেকে গ্রাম আলোকিত করে দিলো! বাচ্চারা খুশি হয়ে চিৎকার করল — “টিপু আমাদের গ্রামের ছোট্ট সূর্য!” 🌞 --- শিক্ষা: ✨ যার মধ্যে ভালো কিছু থাকে, সেটি সবাইকে আলো দিতে পারে — যত ছোটই সে হোক।

🐿️ টুনটুন কাঠবিড়ালির বাদামের বাগান

 এক ছিলো একটা ছোট কাঠবিড়ালি, নাম তার টুনটুন। সে খুব দুষ্টু আর চঞ্চল। সারাদিন গাছে গাছে লাফায়, ডালে ডালে ঘুরে বেড়ায়। একদিন টুনটুন দেখল, বনের এক কোণে অনেক বাদাম পড়ে আছে। সে খুশি হয়ে বলল, “আহা! এত বাদাম! আমি একটা বাদামের বাগানই বানিয়ে ফেলব!” তারপর সে প্রতিদিন বাদামগুলো কুড়িয়ে একটা জায়গায় পুঁতে রাখত। বৃষ্টি হল, রোদ উঠল, আর কয়েকদিন পরই দেখা গেল ছোট ছোট গাছ গজিয়েছে। টুনটুন খুশিতে নাচতে লাগল, “আমার বাগান! আমার বাগান!” কিন্তু এক সকালে দেখে — কিছু বানর এসে তার গাছের বাদাম খাচ্ছে! টুনটুন চিৎকার করে বলল, “ওই! আমার বাদাম খেও না!” বানরগুলো হেসে বলল, “তুমি যদি ভাগ করে খেতে শেখো, তাহলে আমরা তোমার বন্ধু হব।” টুনটুন একটু ভেবে বলল, “ঠিক আছে, বন্ধুরা! আজ থেকে আমার বাগানের বাদাম সবাই মিলে খাব।” তারপর থেকে টুনটুন, বানর, পাখি আর খরগোশ — সবাই মিলে বাদামের বাগানে খেলা করত, গল্প করত আর মজা করত। --- শিক্ষা: 🤍 ভাগাভাগি করলে বন্ধুত্ব বাড়ে, আর একসাথে থাকলে আনন্দও বাড়ে।

কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়

 অনলাইনে ইনকাম করার অনেকগুলো উপায় আছে, কিন্তু আসল বিষয় হলো — কোনটা রিয়েল, নিরাপদ আর টেকসই। নিচে আমি বিভাগ অনুযায়ী সাজিয়ে দিলাম👇 --- 💼 ১. Freelancing (সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৈধ উপায়) তুমি নিজের স্কিল ব্যবহার করে অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করতে পারো। 🔹 জনপ্রিয় সাইট: Upwork Fiverr Freelancer 🔹 কাজের ধরন: Graphic Design Video Editing Data Entry Web Development Digital Marketing Translation ইত্যাদি 🔹 প্রয়োজন: একটি ভালো স্কিল ইন্টারনেট সংযোগ ও কম্পিউটার/মোবাইল একটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট মেথড (যেমন: Payoneer, Wise) --- 📱 ২. Survey, App ও Micro Task করে ইনকাম সহজ কাজ বা সার্ভে পূরণ করে ছোট ছোট ইনকাম করা যায়। 🔹 সাইট/অ্যাপ: YSense Swagbucks Google Opinion Rewards (Bangladesh-এ Google Play Credit দেয়) Remotasks (AI training & labeling কাজ) --- 🧠 ৩. Online Teaching / Tutoring তুমি যদি কোনো বিষয় ভালো জানো, তাহলে অনলাইনে পড়িয়ে টাকা আয় করতে পারো। 🔹 সাইট: Preply Tutor.com Udemy (নিজের কোর্স বানিয়ে বিক্রি করা যায়) --- 💰 ৪. Content Creation তুমি ভিডিও, ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়ার...